সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০১:০৩ পূর্বাহ্ন
নি্উজ ডেস্ক : কেপটাউনে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় টেস্টে বল টেম্পারিংয়ের ঘটনায় আগেই দুঃখ প্রকাশ করেছেন স্টিভেন স্মিথ। সবকিছুর দায় স্বীকার করে নিয়েছেন। হয়েছেন অনুতপ্ত। কিন্তু আইসিসি ও অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট বোর্ডের শাস্তির হাত থেকে রেহাই পাননি।
আইসিসি তাকে এক ম্যাচ নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি ম্যাচ ফি’র শতভাগ জরিমানা করে। কিন্তু ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া এক হাত নেয়। তারা এক বছরের জন্য স্মিথ ও ওয়ার্নারকে নিষিদ্ধ করে। দুই বছর অধিনায়কত্ব করতে পারবেন না অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের। এমনকি অস্ট্রেলিয়ার কোনো ঘরোয়া ক্রিকেটেও নয়। ক্যামেরন ব্যানক্রফটকে করে ৯ মাসের জন্য নিষিদ্ধ করে। আইপিএলেও নেই স্মিথ, ওয়ার্নার।
বৃহস্পতিবার (২৯ মার্চ) সকাল থেকেই ক্ষমা চাওয়ার প্রক্রিয়া চলছিল। ইনস্টাগ্রামে ওয়ার্নার ক্ষমা চেয়েছেন।
পার্থে সাংবাদিক সম্মেলনে নিজের ভুল স্বীকার করেছেন ব্যানক্রফট।
সিডনিতে সাংবাদিকদের সামনে এসে কেঁদেই ফেললেন অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ।
সিডনিতে সাংবাদিকদের সামনে এসে স্মিথ বলে গেলেন, ‘আমি একটা ভুল করেছি। আমার নেতৃত্বের বড় ভুল এটা। আমার সকল সতীর্থ, গোটা বিশ্বের ক্রিকেট ভক্ত ও অস্ট্রেলিয়ান সমর্থকরা রীতিমতো হতাশ। বিরক্তও। সবার কাছেই ক্ষমা চাইছি আমি।’
এরপরই স্মিথের সংযোজন, ‘যা ঘটেছে তার দায় আমার। আমিই অধিনায়ক ছিলাম। ভুল করেছি। যার ফলে বিপুল ক্ষতি হয়ে গেছে। সত্যি বলতে এটা আমার জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল। কাউকে দোষারোপ করব না। শনিবার (২৪ মার্চ) যা ঘটেছে তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক হিসেবে আমার আরো দায়িত্ববান হওয়া উচিত ছিল।’ পরিবারের কথা উঠতেই আর নিজেকে সামলাতে পারেননি স্টিভেন স্মিথ। তিনি কাঁদতে কাঁদতে বললেন, ‘আমার পরিবারও দুঃখ পেয়েছে। ক্রিকেটকে আমি ভালবাসি। বাচ্চাদের সঙ্গে সময় কাটাতে ভালবাসি। পরিবারের কাছেও ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।’
এরপরই স্মিথের সংযোজন, ‘আশা করব এই ঘটনা থেকে বাকিরা শিক্ষা নেবে। যা করেছি তার জন্য আজীবন দুঃখ থাকবে আমার।’
উল্লেখ্য, কেপটাউনে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় টেস্টে তৃতীয় দিন চা বিরতিতে যাওয়ার আগেই ব্যানক্রফট বল টেম্পারিং করেন। তিনি হাতের তালুতে বল ঘষতে থাকেন। এ সময় টিভি ক্যামেরায় দেখা যায়, হাতের তালুতে করে হলুদ রঙের কিছু একটা ট্রাউজারের পকেটে লুকাচ্ছেন ব্যানক্রফট। এর পরপরই টিভি আম্পায়ার সতর্কবার্তা দিয়ে খেলা বন্ধ রেখে মাঠে দায়িত্ব পালনরত দুই আম্পায়ারের সঙ্গে কথা বলেন। এরপর মাঠে দায়িত্বরত দুই আম্পায়ার অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক স্মিথ ও ব্যানক্রফটকে ডেকে কথা বলেন। ব্যানক্রফটের পকেটে পাওয়া সানগ্লাস কভার দেখে তার বিরুদ্ধে বল টেম্পারিংয়ের অভিযোগ আনা হয়। ব্যানক্রাফটের বিরুদ্ধে আইসিসি লেভেল-২ অভিযোগ আনা হয়।
রবিবার (২৫ মার্চ) স্থানীয় সময় দুপুরে বল টেম্পারিংয়ের এ ঘটনায় অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলকে নিন্দা জানান, দেশটির প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুল।